আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে হবে-এমনটাই চাই। এ নির্বাচনে যেন কোনো ধরনের হানাহানি না হয়, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
শনিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বেশ কয়েকজন সাবেক ছাত্রনেতা এবং জেলা আওয়ামী লীগের নেতা সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে অনির্ধারিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে।
সূত্র জানায়, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত অনির্ধারিত বৈঠকে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, মাগুরা-১ আসনের মনোনয়নবঞ্চিত বর্তমান এমপি সাইফুজ্জামান শিখর, চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহাজাদা মহিউদ্দিন, সদস্য নুরুল কাইয়ুম খান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক সাবিনা আকতার তুহিন, হবিগঞ্জসহ আরও বেশ কয়েকটি জেলার আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ছাত্রনেতা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, এ সময় দলের প্রার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক ভোটেই জিতে আসতে হবে বলে আবারও স্মরণ করিয়ে দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। একই সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে দলীয় নেতাকর্মীদের নানা নির্দেশনাও দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত আবারও নাশকতা শুরু করেছে। তারা অতীতে আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। ক্ষমতায় থাকতে দুর্নীতি করেছে। তাদের সব অপকর্ম সাধারণ জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার যুগান্তরকে বলেন, এটা আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল না। আমরা কয়েকজন নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত নানা বিষয়ে কথা হয়েছে।
তিনি অবাধ-সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কথা বলেছেন। একই সঙ্গে তরুণ ভোটার ও নারী ভোটাররা যেন ভোট দিতে কেন্দ্রে আসেন, সেজন্য প্রার্থী ও দলীয় নেতাকর্মীদের কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক সাবিনা আকতার তুহিন যুগান্তরকে বলেন, ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে নেত্রী দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন। তথাকথিত কিছু রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ না করলেও যে দেশের মানুষ উৎসাহ নিয়ে ভোট দেয়, সেটাই চান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এ বার্তাই বারবার উল্লেখ করেছেন।
বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা যুগান্তরকে জানান, অনির্ধারিত বৈঠক হলেও এতে অনেক কথাই হয়েছে। নেত্রীর (আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) মূল বার্তা হচ্ছে, নৌকাপ্রাপ্ত সবাইকে প্রতিযোগিতামূলক ভোটের মাধ্যমে জিতে আসতে হবে। কার বিরুদ্ধে কে দাঁড়িয়েছে, কে কার লোক, সেটা দেখার বিষয় নয়-গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনই নেত্রী উপহার দিতে চান।